মানবদেহে রক্তশূন্যতার লক্ষণ ও প্রতিকার

রক্তস্বল্পতা বা অ্যামাইনো হলো এমন একটি অবস্থান যা মানব দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। মানবদেহ সঠিক ভাবে চলাচলের জন্য রক্ত অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ণ উপাদান। এটি মানুষের দেহকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে অনেকটা সাহায্য করে। তবে মানবদেহে রক্তের হিমোগ্লাবিন পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে কমে যায় তখন শরীরে অক্সিজেন পরিবহন হয় একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় রক্তশূন্যতা বলে। রক্তশূন্যতা সাধারনত স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও এটি সঠিক সময় চিকিৎসা না নিলে তা পরবর্তীতে অনেক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে।

পেজ সূচিপত্র
রক্তশূন্যতা কি
রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ
রক্তশূন্যতার সংজ্ঞা ও ধারণা
রক্তশূন্যতার প্রতিরোধের কার্যকরী উপায়
বাংলাদেশে রক্তশূন্যতার পরিস্থিতি
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উদ্বেগ
রক্তশূন্যতার ক্ষতিকারক দিকসমূহ
লেখকের শেষ কথা
রক্তশূন্যতা কি
রক্তশূন্যতা হচ্ছে মানবদেহের স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তচলাচল ও রক্তের পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে যায়। রক্তশূন্যতার ফলে মানবদেহে নানা রকম ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বেশিরভাগ মানুষ রক্তশূন্য তাকে আয়রনের ঘাটতির সাথে গুলিয়ে ফেলে। তবে এটা জেনে রাখা উচিত দেহে আয়নের ঘাটতির ফলেও এক ধরনের অ্যানিমিয়া হয়, এনিমিয়া হল সেই উপাদান যা আমাদের দেহের লোহিত রক্তকণিকা কমতে শুরু করে। তাছাড়াও শরীরের আয়রনের ঘাটতি ছাড়াও দেহের অনেক উপাদান ও রক্তশূন্যতার জন্য দায়ী হতে পারে। মানবদেহে রক্তশূন্যতার দ্রুত চিকিৎসা না নিলে তা মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর মারাত্মক ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আপনি আপনার শরীরে একেবারে রক্তশূন্যতার অভাব পড়ে যায় তবে রক্তের অভাবে আপনার মৃত্যু হতে পারে।  আপনার শরীরে যদি রক্ত অভাব হয় তাহলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় যেমনঃ  দেহের ত্বক এবং চোখ হলুদ হতে শুরু করে, শরীরের অনেক দুর্বল অনুভব হয়, বুকের ব্যথার হতে পারে এবং বুক ধরফর অথবা শ্বাসকষ্ট হতে পারে, শরীরের রক্তশূন্যতা হতে থাকলে আপনার ক্লান্তি অনুভব মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা হতে পারে, আপনার হাত-পা মাঝেমাঝে ঠান্ডা হয়ে যাবে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া রক্তশূন্যতার মূল লক্ষণ।
রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ
মানবদেহের রক্তশূন্যতা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে এই রক্তশূন্যতা পুরুষদের থেকে নারীদের বেশি হয়ে থাকে। রক্ত তৈরীর জন্য প্রধানত যে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান সেইখানে যদি ঘারতি হয় তবে রক্তশূন্যতা বৃদ্ধি পায়। এই পোস্টটি উপাদানের মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে আইরন আয়রন যদি কোন মানব দেহের পুষ্টি পদার্থ থেকে কমে যায় তবে রক্তশূন্যতার প্রভাব দেখা দেয়। আইরন, ভিটামিন বি টুয়েল্‌ ফলিক অ্যাসিড , এই তিনটি উপাদান হচ্ছে মানবদেহে রক্ত তৈরীর প্রধানতম উপাদান। তাছাড়াও কিছু এমন অ্যাসিড বা প্রোটিন থাকে সেগুলোর ঘারতি হলেও রক্তশূন্যতা হতে পারে। মানবদেহের রক্তে তৈরির জায়গা হচ্ছে বোন ম্যারো। বোন ম্যারর মধ্যে যদি আমাদের কার্যকারিতা কমে যায় তবে রক্তশূন্যতা হতে পারে। বোনমের এর কার্যকারিতা কমে যাওয়ার প্রধান হলো ব্লাড ক্যান্সার অথবা অন্য কোন ক্যান্সার রক্ত তৈরীর জায়গাগুলোকে দখল করে রেখেছে যার জন্য স্বাভাবিক রক্ত তৈরি হতে পারছে না। আরেকটি কারণ হতে পারে যেদিকে প্লাস্টিক এনিমিয়া বলে থাকি যেখানে কোন না কোন ভাবে রক্ত তৈরির যে বীজগুলো সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায় যার ফলে মানবদেহে রক্তশূন্যতা বৃদ্ধি পায়।
রক্তশূন্যতার সংজ্ঞা ও ধারণা


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url