প্রোটিন বাড়ানোর ১০ টি সহজ উপায়

প্রোটিন বাড়ানোর টিপস
প্রোটিন মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি আপনার দেহে হাড় শক্ত করে তোলে এবং হরমোন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাছাড়া প্রোটিন আপনার দেহে মাংসপেশী বৃদ্ধি করে। যারা নিয়মিত জিমে জান এবং এক্সারসাইজ করেন তাদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


 রুটিন আপনি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য থেকে পেয়ে থাকবেন। সেই জন্য আপনার দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রোটিন যুক্ত খাবার থাকা অপরিহার্য। তাছাড়া আপনার শরীরের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন না থাকে তাহলে আপনার বিভিন্ন রোগবালাই হতে পারে এবং আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এই আর্টিকেলে প্রোটিন বাড়ানোর সহজ ১০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি ।

পেজ সূচিপত্র

প্রতিদিন খাবারের রুটিনের ডিম যোগ করুন

আপনি যদি প্রতি নিয়ত ডিম খাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার প্রোটিন এর ঘারতি অনেকটা পুরন হবে। সাধারণত একটা সিদ্ধ ডিমে ৬ গ্রাম এর মতো প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন টি মাবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রোটিন সাধারণত মানবদেহে অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করতে সাহায্য করে । এর ফলে মানব দেহের বিভিন্ন অংশের মাংসপেশি বৃদ্ধি পায়।

আর পড়ুনঃ ২০২৫ সালে ব্যাকলিংক বিল্ডিং কৌশল


 যারা রেগুলার জিমে যান বা এক্সারসাইজ করেন তাদের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা রেগুলার জিম করে তাদের প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন কম করে হলেও ১.২-২.0 গ্রাম করে প্রোটিন দরকার হয়।   মুরগির ডিমের সাদা অংশে কম করে হলেও ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে এবং টিমের কুসুমে ২.৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সাধারণভাবে আপনার ওজন যদি ৪০ কেজি হয় তাহলে আপনার দৈনিক ৭২-১২০ গ্রাম প্রোটিন দরকার হবে আপনার দেহের। 

আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ২ টা করে সিদ্ধ ডিম খান তবে আপনার দেহে ব্যাপক পরিমাণে প্রোটিনের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এতে খুব তাড়াতাড়ি আপনার শরীরের মাংসপেশী বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন মানবদেহে প্রোটিন চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য ডিম কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করুন

দুগ-দুজাত খাবার যেমন দুধ,পনির, ছানা, দই ইত্যাদি এই সকল খাবারে অনেক পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে
যেমন ধরুন আপনি যদি নিয়মিত প্রতি ১০০ গ্রাম দুধ পান করেন তাহলে সেইখান থেকে প্রতি ১০০গ্রামে ৩.২  গ্রাম করে প্রোটিন পাবেন। যা মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  একজন সাধারন মানুষের দৈনিক ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়ে থাকে তার মধ্যে দুগ্ধযাত খাবারে প্রায় ২০ থেকে ২৫ গ্রাম এর মত প্রোটিন থাকে। 


সাধারণত পনির হচ্ছে যুদ্ধজাত খাবার গুলোর মধ্যে একটি সব থেকে উচ্চ মানের প্রোটিন দিয়ে থাকে। সংখ্যক এক কাপ কুচি পনিরে প্রাই ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম এর মতো প্রোটিন পাওয়া যাই। অনেক ছাড়াও দুগ্ধ জাত খাবার গুলোর মধ্যে দই বেশ ভালো পরিমাণে প্রোটিন আছে। এটি প্রোটিনের খুবই ভালো মানের একটি উৎস। 

দুই মানব দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে বেশ অনেকটাই সাহায্য করে। ঘন গারো দই এ প্রতি ১৭০ গ্রাম সেবন করলে ১৭ গ্রাম প্রোটিন থাকবে। দই প্রোটিন ছাড়াও আরো বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান আছে। তাহলে বুঝতে পারছেন মানবদেহের দুগ্ধজাত খাবার কতটা পরিমাণে প্রোটিন বাড়াতে পারে

বাদামে প্রোটিনের গুরুত্ব

দেহের প্রোটিন সমৃদ্ধ করার জন্য বাদাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের বাদামে বিভিন্ন রকম প্রোটিন থাকে কোন বাদামে কম আবার কোন বাদামে বেশি প্রোটিন থাকে। প্রোটিন ছাড়া বাদামে বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেমন ক্যালরি, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার তাছাড়াও খনিজ উপাদান রয়েছে যা হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে। 

বাদামে থাকা অনেক স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আপনার মস্তিষ্ক সচল করে তোলে এবং আপনার চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করে। বাদামে প্রোটিনের গুরুত্ব এটি আপনার দেহে পেশী গঠন করে, দেহের হাড় শক্ত করে তোলে। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর প্রোটিন মানবদেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া চীনা বাদামের প্রোটিনের ধরন একটু বেশি পরিমাণে থাকে যেমন ধরুন প্রতি ৫০ গ্রাম বাদামে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। 

প্রতি ৫০ গ্রাম কাঠ বাদামে রুটিন থাকে ১০.২ গ্রাম করে। তাছাড়াও প্রোটিন মানবদেহে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একজন মানুষ সুস্থ ও সফলভাবে চলাফেরার জন্য অবশ্যই দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকা দরকার। 

প্রোটিন সেক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

 আজ কালকার আধুনিক যুগে জীবনযাত্রার মান দিন দিন উন্নত হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত জিম করে নিজের শরীরকে ফিট রাখার জন্য তাদের জন্য অবশ্যই প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন সেক মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা রেগুলার জিম বা এক্সারসাইজ করে তাদের দেহের পেশি বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন সেক অত্যন্ত জরুরী। 

প্রোটিন শেখ আপনার শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া জিম করার সময় আপনার পেশীদের যে টান ধরে, নিয়মিত প্রোটিন শেখ সেবন করলে তা দ্রুতই সরে যেতে বাধ্য হবে। প্রোটিন শেক সেবন করলে আপনার শরীরে এক্সট্রা ভাবে প্রোটিন যুক্ত হবে। বিশেষ করে যারা জিম করেন তাদের অবশ্যই জানার কথা ব্যায়াম করার পর শরীরের প্রোটিন মাত্রাটা বাড়ানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

মাছ ও মুরগির মাংসের প্রোটিনের গুরুত্ব

মানবদেহে সুষ্ঠু ও সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল পুষ্টি উপাদান। প্রোটিন পেশী গঠনের পাশাপাশি মানবদেহে বিভিন্ন দিক পরিচালনা করে যেমন দেহের হার শক্ত করে চুল ঘন গাড় করে তুলে, এবং আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করে তোলে। মানবদেহে প্রোটিন বৃদ্ধির সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী পুষ্টি উপাদান হলো মুরগির মাংস। 

বিশেষ করে মুরগির বুকের মাংসে প্রোটিনের মাত্রা অধিক পরিমাণ থাকে। সাধারণত মুরগির মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩১ গ্রাম করে প্রোটিন থাকে। তো চলুন মাঝে কতটুকু প্রোটিন থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক। অনেকেই জানেন না সামুদ্রিক মাছের সাধারণত 100 গ্রামে ব২০ থেকে ৩০ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। আবার দেশি বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে যেমন দুই কাঁকরোল পাঙ্গাস ইত্যাদি এই মাছগুলোতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৫ থেকে ২০ গ্রামের মতো প্রোটিন থাকে। 

তাহলে আপনারা এই বিষয়টা বুঝে গেছেন মাছ ও মাংসের মধ্যে মত কোনটাই প্রোটিনের পরিমাণ বেশি আছে।

বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাওয়া

শাকসবজিতে শুধু ভিটামিন খনিজ ফাইবার ইত্যাদি পাওয়া যায়। তবে অনেক শাকসবজিতে ও বেশ কিছু পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। যদি নিয়মিত শাক-সবজি খেয়ে থাকেন তবে সেখান থেকে বেশ কিছুটা প্রোটিন পেতে পারেন। তবে শাকসবজিতে খুব অল্প পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যেমন ধরুন ১০০ গ্রাম শাকসবজি থেকে  ১০ থেকে ১২ গ্রামের মধ্যে পাওয়া যায়। 

আমাদের প্রোটিনের মানবদেহের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির পাশাপাশি মাছ্‌ মাংস, ডিম, বাদাম বীজ ইত্যাদি সেবন করা শুরু করতে হবে। কারণ শাকসবজি থেকে এই সকল খাবারের প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে আছে। শুধু প্রোটিন বৃদ্ধির কাজেই নয় শাকসবজি খাওয়ার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে ।যেমন ধরুন আপনার শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করবে। 

আপনার দেহে খনিজ উপাদান বৃদ্ধি করবে ইত্যাদি আরো অনেক কাজ করে থাকে। তাছাড়াও প্রোটিন আপনার শরীরে মাংসপেশী বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দেহে মাংসপেশী বৃদ্ধির জন্য কঠিন খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন জাতের বীজ গ্রহণ

বীজ এমন একটু উপাদান যা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। বীজ প্রোটিনের ভিটামিন  ও খনিজ উপাদান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলুদ চিয়া বীজ একটি প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস এতে আপনি অ্যামাইনো এসিড পাবেন যা আপনার দেহের মাংসপেশী বৃদ্ধি করবে। সাধারণত চিয়া বীজ ছোট হয়ে থাকলেও এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশ কিছুটা থাকে। এই চিয়া বীচে প্রতি 100 গ্রামে ২০ গ্রাম করে প্রোটিন থাকে। 

এছাড়া এতে ফাইবার, তিনটি ফ্যাট অ্যাসিড, ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ঠিকভাবে বিভিন্ন রকমের বিজ সেবন করে থাকেন তাহলে আপনার প্রোটিনের পাশাপাশি হৃদরোগ, হাড়ের স্বাস্থ্য, হজম ও হরমোন এর মান বৃদ্ধি করতে বেশ সাহায্য করে।

নিয়মিত ওটস সেবন 

ওটসে কতোটা পরিমান প্রোটিন থাকবে তা নির্ভর করছে আপনি কতোটা ওটস সেবন করেছেন। উদাহরণ সরূপ ধ্রুন আপনি ১০০ গ্রাম ওটস সেবন করল্রেন সেই ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ গ্রাম ওটসে  ১১-১৩ গ্রাম এর মতো প্রোটিন থাকে। দেহে প্রোটিন বৃদ্ধি করার জন্য ওর একটি ভাল মাত্রা হলেও কিন্তু প্রোটিন নয়। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ করে দেহে প্রোটিন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবেন।

ডাল ও বিভিন্ন শস্য জাতিও খাবার

ডাল যা মানব দেহে প্রোটিন সমৃদ্ধ করতে অনেক পরিমাণে সাহায্য করে। প্রোটিন নাই বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা আপনার দেহের মাংসপেশী বৃদ্ধি করবে এবং আপনি যদি জিম করেন তাহলে আপনার দেহে প্রোটিনের খুবই প্রয়োজন। এতে আপনার দেহে হার শক্ত হবে। সাধারণত মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ প্রচুর রয়েছে ১০০ গ্রাম মসুর ডালে প্রায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।

শস্য জাতীয় খাবার

শস্য জাতীয় খাবার মানবদেহের প্রোটিন বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। খাবার গুলোর মধ্যে হল গম ,ভুট্টা,কুইনোয়া,ইত্যাদি। গম পুষ্টি ও প্রোটিন বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করে এতে প্রায় প্রতি গ্রাম ১০০ গ্রামে ১২ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ভুট্টা মানব দেহে অ্যান্টিঅক্সাইড বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যার ফলে দেহ সুস্থ সবল থাকে এবং দেহে শক্তি প্রচলিত হতে থাকে। প্রতি 100 গ্রাম ভুট্টা তে ১০ গ্রাম করে প্রোটিন পাওয়া যায়।

খাবারের পরিকল্পনা করুন

আপনি যদি আপনার দেহে প্রোটিন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খাওয়ার রুটিন চেঞ্জ করতে হবে এবং এমন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যাতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। প্রোটিন বৃদ্ধি করার জন্য দৈনিক কম করেও দুইটা সিদ্ধ ডিম এক গ্লাস দুধ খেতে হবে। উপরে খাবারের সাথে বিভিন্ন শাকসবজি খেতে হবে যাতে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্কর জন্য দৈনিক প্রায় ৬০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিন কম করে হলো অর্জন করতে হবে।

উপসংহার

উপরের যেই বিষয়গুলো নিয়ে এতক্ষন আলোচনা করলাম, আপনি যদি সেই বিষয়গুলো ঠিকঠাকভাবে পালন করতে পারেন তাহলে আপনার দেহে প্রোটিন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি স্বাভাবিক অসুস্থ জীবন যাপন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার দেহে প্রোটিন পরিমাণ বেশি থাকতে হবে। প্রোটিন আপনার দেহের গঠন বৃদ্ধি আলাদা করবে।


 আপনি যদি রেগুলার জিম করে থাকেন তাহলে উপরের এই বিষয়গুলো ফলো করে আপনার দেহের কঠিন বৃদ্ধি করতে পারেন। এর মধ্যে আমি প্রতিদিন সকালে রোজ দুইটা করে ডিম ও এক গ্লাস দুধ পান করি। এটি শুধু প্রোটিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে শুধু তা নয়, এটি আপনার দেহে হরমোন বৃদ্ধি করতে অনেকটা সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার দেহের মাংসপেশী বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো ফলো করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url